আমেরিকায় আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিতে প্রতিবছর নিহত হয় ১৩শ’ শিশু। গুরুতর আহত হয় আরো ৫ হাজার ৮শ’ শিশু। মার্কিন সরকারি গবেষণা সংস্থা ‘সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’র গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে ভয়ঙ্কর এ তথ্য।
আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিতে যেসব শিশু নিহত হচ্ছে তাদের বয়স ১-১৭ বছরের মধ্যে। অনেক সময় শিশুরা তাদের পরিবার কিংবা ছেলে-মেয়ে বন্ধুর সম্পর্ক জটিলতার মুখে আত্মহত্যা করতে এ পথ বেছে নেয়। এক্ষেত্রে শ্বেতাঙ্গ আমেরিকান শিশুদের আত্মহত্যার প্রবণতা অন্যদের তুলনায় ৮ থেকে ৫ গুণ বেশি বলেও গবেষণায় জানা গেছে।
এছাড়া গবেষণার বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিতে শিশু নিহত হবার ঘটনা সবচে’ বেশি ডিসট্রিক্ট অব কলম্বিয়া এবং লুইজিয়ানায় রাজ্যে। এ দু’রাজ্যে আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিতে শিশুমৃত্যুর হার সবচে’ বেশি।
গবেষণাটির গবেষক ক্যাথরিন ফোলার বলেন, ‘প্রতিবছর আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিতে শিশু মৃত্যুর ঘটনা একটি উল্লেখযোগ্য পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। প্রতিদিন ১৯ জন শিশু আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিতে মারা যাচ্ছে অথবা গুরুতর আহত হচ্ছে।’
গবেষকরা বলেন, ২০০৭ সাল থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিতে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। পৃথিবীর অন্য উন্নত দেশগুলোতে আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিতে শিশু মৃত্যুর ঘটনা আমেরিকার তুলনায় অনেক কম। আমেরিকায় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণের জন্য আইন করতে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বেশ কয়েকবার সরব হয়েছিলেন। কিন্তু তার সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
আমেরিকায় শিশুমৃত্যু ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে বন্দুকধারীদের অতর্কিত হামলায় বহু মানুষ প্রাণ হারায়।
এপি